সর্বশেষ

নোটিশ দিয়েও হচ্ছে না অবৈধ ভবন অপসারণ

.......নানান অজুহাত রাজউক জোন ৪/১

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'রাজধানীতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সহকারী সেবা প্রদানকারী সংস্থা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)কর্তৃক ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র প্রাপ্তির পর নির্দিষ্ট প্লটে ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় রাজধানীর অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে রাজউক অনুমোদন ছাড়া বা অনুমোদিত নকশার বহির্ভুত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।'

গণমাধ্যমের অনুসন্ধান মূলক এক জরিপে দেখা যায় রাজধানীর অধিকাংশ ভবন মালিকগণ নিজস্ব ভবন নির্মাণের সময় রাজউক হতে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র , ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোধন ছাড়া অথবা অনুমোদিত নকশার বহির্ভুত করে ছোট,বড় ও বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। যা রাজউক বিধিমালা আইন ১৯৫২ সালের ০৩(তিন) ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের অবৈধ ভবন মালিক নিজ দায়িত্বে করবেন অন্যথায় রাজউক আইনের আওতায়যে কোন সময় সেই অবৈধ ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে।

-এদিকে সাম্প্রতিক রাজউক সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৎকালীন মন্ত্রী,সচিব ও সংস্থার চেয়ারম্যন বলেন রাজধানীতে যতগুলো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করত সুস্পষ্ট তালিকা তৈরী করে সেইসকল অবৈধ স্থাপনা গুলোতে রাজউকের কোন নোটিশ ছাড়াই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হলেও তার অধিকাংশই এখনো অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয় নাই রাজউকের কিছু অসাধু ও দূরনীতিবাজ কর্মকর্তার জন্য। উল্লেখ্য রাজউকের এক নির্দেশনায় বলা হয় রাজধানীতে যতগুলো চিহ্নিত অবৈধ ভবন আছে এখন হতে সেই স্থাপনা গুলোর সর্ব প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। সেই সুযোগে রাজউকের কিছু অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা -কর্মচারি অবৈধ ভবন মালিকদের সাথে আঁতাত করে তাদরে ভবন নির্মাণের ফাইলগুলোন ধামাচাপা দিয়ে রাখে।

'সরকারের রাজস্ব উন্নয়নের স্বার্থে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানকৃত বিশ্লেষণে সেই সকল অবৈধ সেই সকল অবৈধ আলোচনায় উঠে আসে (১)মোঃ মতিউর রহমান (৪তলা) সি.এস দাগ -২৯০ (অংশ) আলির মোড় ,উত্তর বাড্ডা। (২)মোঃ কমল মিয়া (৬ তলা) সি.এস দাগ-১০৮৪(অংশ) বড় বেরাইদ ,আক্কারটেক কবরস্থান রোড ,মৌজা – বড় বেরাইদ ,বাড্ডা। (৩) মোঃ আমান উল্লাহ (৪তলা) সি.এস দাগ- ২৯০(অংশ), ০১পূর্বাচল রোড , আলিরমোড় , উত্তর বাড্ডা। (৪) মোঃ আমিনুল হক (৬তলা) সি.এস. দাগ-২৮৫(অংশ), মৌজা- বাড্ডা , আলিরমোড় , উত্তর বাড্ডা সহ উত্তরা , দক্ষিণখান , আশকোনা , কাওলা , খিলক্ষেত , বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা , গুলশান , ভাটারা , বনশ্রী আবাসিক এলাকা , আবতাব নগর,মগবাজার , কলাবাগান , ধানমন্ডি , এলিফেন্ট রোড , রায়েরবাজার , শংকর , লালবাগ , পুরনো ঢাকার হাজারীবাগ ছাড়াও আরো অনেক এলাকার বহু নির্মাণাধীন ভবন রাজউকের চিহ্নিত তালিকাভুক্ত থাকা সত্বেও সেগুলো রাজউকের কিছু অসাধু দুর্নীতিগ্রস্থ প্রধান ইমারত পরিদর্শক এর আওতাধীন ইমারত পরিদর্শকরা অতি সুকৌশলে ধামাচাপা রাখে বিধায় রাজউকের এরকম বহু অবৈধ ভবন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা অসমাপ্তই থেকে যায়।'

-ওপর দিকে অবৈধ স্থাপনায় বন্ধ থাকা নির্মাণ কাজ ভবন মালিকরা পুনরায় চালু করে রাজউকের কোন প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভবনের অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এর আওতাধীন ইমারত পরিদর্শকরা অতি সুকৌশলে ধামাচাপা রাখে বিধায় রাজউকের এরকম বহু অবৈধ ভবন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা অসমাপ্তই থেকে যায়। ওপর দিকে অবৈধ স্থাপনায় বন্ধ থাকা নির্মাণ কাজ ভবন মালিকরা পুনরায় চালু করে রাজউকের কোন প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভবনের অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বহালতবিয়তে রাজউকের অবৈধ স্থাপনাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযানের সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে

নোটিশ দিয়েও হচ্ছে না অবৈধ ভবন অপসারণ

সংস্থাটির এক শ্রেণীর দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সাংবাদিকদের নানা রকম লাঞ্ছনা সহ রাজউক অফিসের ভিতরে ভয়ভীতির মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যে তালিকাভুক্ত অবৈধ স্থাপনাগুলোর সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না। পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত অবৈধ নির্মাণাধীন ভবনগুলো অপসারণের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে রাজউক মহাখালী জোনাল অফিস -৪/১ অথরাইজড অফিসার মাকিদ হাসান এর সাথে কথা বলেও সুস্পষ্ট কোন উত্তর দিতে পাওয়া যায় নাই, অন্যদিকে দায়িত্বে থাকা ইমারত পরিদর্শক মোঃ আব্দুর রহমান বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে কিছু না বলে এড়িয়ে যায়। এর পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে তা জানতে....
চোখ রাখুন-বিশ্লেষণে 

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত